ছালাম কাকলি :

মাতারবাড়ী-চালিয়াতলী সড়কের লাগোয়া দারাঘোনায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত চালাচ্ছে অস্ত্রের মহড়া। সন্ত্রাসীরা মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করে সন্ত্রাসীদের নিয়ে যে কোন মুহুর্তে ঐ ঘোনাটি দখল করে নিতে পারে বলে আশংকা করছেন ঐ ঘোনার পরিচালনা কমিটির লোকজন।

দারাঘোনার জমির মালিকরা জানান, দারাঘোনায় বর্তমানে ৩৬৫ কানি জমি রয়েছে। উক্ত জমির পেকুয়া উপজেলার করিয়াদিয়া মৌজা হলেও এ ঘোনাটি মাতারবাড়ী চালিয়াতলি সড়কের পূর্বে অবস্থিত। ঐ ঘোনার সম্পূর্ণ জমিনের মালিক রাজঘাটবাসীর। এ ঘোনাটি প্রতি বৎসর পরিচালনা কমিটি কর্তৃক হালসন ইজারা দিয়ে থাকে। সর্বশেষ গত ২ বৎসর সিরাজ মোস্তফা নামক এক ব্যক্তি ঐ ঘোনাটি ইজারা গ্রহণ করেছিল। তার মেয়াদ বর্ষায় শেষ হয়ে গেছে। লবণ মৌসুম থেকে উক্ত ঘোনাটি চলতি বছরের জন্য প্রকাশ্যে ডাক দেয়া হলে মাতারবাড়ীর মসলম উদ্দিন প্রকাশ্যে নিলাম থেকে ৮১ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা গ্রহণ করে। তার নির্ধারিত চাষা দিয়ে লবণ চাষ করতে গেলে সিরাজ মোস্তফা তাতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডাতা ঘটে যায়। সিরাজ মোস্তফা এ ঘঠনার প্রতিকার চেয়ে পেকুয়া উপজেলায় কমিটির বিরুদ্ধে একখানা অভিযোগ দায়ের করে। পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম উভয়পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলে উভয়পক্ষের অনুরোধে ঐ দিন মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ থানায় হাজির হয়। বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে মিমাংসার জন্য পেকুয়া থানার ওসি মাতারবাড়ীর ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্বভার দেন। চেয়ারম্যান উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে দীর্ঘদিন যাচাই বাচাই করার পর দেখে যে, সিরাজ মোস্তফাকে ৪৯ কানি জমি নিষ্কন্টক ভাবে লাগিয়ত করে। বাকী আরও ৫৩ কানি জমিনের মালিক পরিচালনা কমিটি ও সিরাজ মোস্তফা থেকে লাগিয়ত গ্রহণ করে। ঐ ঘোনার তৃতীয়াংশ জমি পরিচালনা কমিটির আওতায় রয়েছে। তবুও পরিচালনা কমিটি থেকে ডাক গ্রহণকারী মসলেম উদ্দিনকে ১০ আনা ও সিরাজ মোস্তফাকে ৬ আনা করে ভোগ দখল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এ নির্দেশ অমান্য করে সিরাজ মোস্তফা প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঘোনাটি দখল করার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান দারাঘোনাটি শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতি বছর হালসন ইজারা দেয়ায় ঘোনাটিতে সৃষ্টি লগ্ন থেকে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘঠনা ঘটেনি। কিন্তু বহিরাগত সিরাজ পরিচালনা কমিটির কাছ থেকে ঘোনাটি না নিয়ে কয়েকজন জমির মালিককে টাকা দিয়ে পুরো ঘোনাটি দখল নেয়ার চেষ্ঠা চালাচ্ছে।